টেস্টোস্টেরন একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরুষ হরমোন, যা শরীরের নানা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি টেস্টোস্টেরন কমে যায়, তবে ছেলেদের শরীর এবং মানসিক স্বাস্থ্যেও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। টেস্টোস্টেরন কমে গেলে যা যা হতে পারে, তা হলো:
- যৌন আগ্রহ কমে যাওয়া: টেস্টোস্টেরন হরমোন পুরুষদের যৌন আগ্রহ বা Libido বজায় রাখতে সহায়তা করে। টেস্টোস্টেরন কম হলে যৌন ইচ্ছা কমে যেতে পারে, এবং যৌন সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ হ্রাস পেতে পারে।
- শক্তির অভাব: টেস্টোস্টেরনের কম থাকা শরীরের শক্তি এবং উদ্দীপনাও কমিয়ে দেয়। ক্লান্তি এবং শারীরিক অবসাদ হতে পারে, যা সাধারণ কাজকর্মের ওপর প্রভাব ফেলে।
- মাংসপেশির দুর্বলতা: টেস্টোস্টেরন মাংসপেশির গঠন এবং শারীরিক শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। কম টেস্টোস্টেরন স্তরের কারণে মাংসপেশি দুর্বল হতে পারে এবং শারীরিক ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
- মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: টেস্টোস্টেরনের অভাবে বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং মনোযোগের অভাব দেখা দিতে পারে। এটি মানসিক অবস্থা এবং স্বাভাবিক চিন্তা-ভাবনায় প্রভাব ফেলে।
- হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া: টেস্টোস্টেরন হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করে। কম টেস্টোস্টেরন হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হতে পারে, যা হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ায়।
- ওজন বৃদ্ধি: টেস্টোস্টেরন কম থাকলে শারীরিক চর্বির পরিমাণ বাড়তে পারে, বিশেষ করে পেটের আশেপাশে। এটি মেটাবলিজমেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
- মুড পরিবর্তন: কম টেস্টোস্টেরন পুরুষদের মুড পরিবর্তন করতে পারে। সাধারণত বিষণ্নতা, বিরক্তি এবং মনোযোগের অভাব দেখা দিতে পারে।
- ঘুমের সমস্যা: টেস্টোস্টেরন কম থাকলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে, যেমন অনিদ্রা বা অস্থির ঘুম।
যদি টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার লক্ষণগুলো দেখা দেয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এর জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (HRT) অথবা জীবনযাত্রার পরিবর্তন (যেমন সঠিক খাবার এবং ব্যায়াম) সহায়ক হতে পারে।
#ইন্তিমেসি_লাইফ #intimacy_life